বিশ্বজুড়ে শুরু হয়ে গেছে বিশ্বকাপ ফুটবলের আমেজ। আর মাত্র ২ দিন পরেই পর্দা উঠছে বিশ্বকাপ ফুটবলের ২২তম আসরের। এই আসরের আয়োজক দেশ কাতার। দেশটির পাঁচ শহরের ৮ স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের সর্বমোট ৬৪টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে বিশ্বকাপের এই উন্মাদনা।
এদিকে, কাতারের এই বিশ্বকাপ আয়োজনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের অসংখ্য কর্মীর পরিশ্রম ও ঘাম। দেশের শীর্ষ এক জাতীয় দৈনিকে উঠে এসেছে এমনই এক বাংলাদেশের গর্বিত সন্তানের গল্প। নাম ওয়াশিকুর রহমান। বাসা নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর শহরের বাঁশবাড়ী মহল্লায়। পেশায় একজন প্রকৌশলী। কাতারে আল রাইয়ান এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামটির প্রধান প্রকৌশলী ছিলেন তিনি। গুরুত্বপূর্ণ এই স্টেডিয়ামে শেষ ষোলো ও কোয়ার্টার ফাইনালের একটি করে ম্যাচ ছাড়াও মোট ৮ টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
জানা যায়, ২০১০ সাল থেকেই কাতারে স্টেডিয়ামের প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত আছেন ওয়াশিকুর। কুয়েট থেকে পড়া ওয়াশিকুর ১৯৯২ সালে সৈয়দপুর রেলওয়ে উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করে। তার বাবা সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ল্যাবরেটরি শপের অবসরপ্রাপ্ত রসায়নবিদ শেখ নাজমুল হক। বাসার তিন ভাইবোনের মধ্যে তিনিই সবার বড়। মা একজন গৃহিণী। এসএসসির পর ১৯৯৪ সালে সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পুরকৌশলে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন। ২০২০ সালে কাতার বিশ্বকাপের ভেন্যু নির্মাণকাজে যোগ দেন তিনি।
উক্ত গণমাধ্যমকে মুঠোফোনে ওয়াশিকুর বলেন, ‘বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম নির্মাণকাজে জড়িয়ে পড়াটা স্বপ্নের মতো। বিশাল একটা বিশ্ব ইভেন্টে কাজ করতে পারাটাও গর্বের ব্যাপার। কত বড় বড় তারকা খেলবেন এই মাঠে, এটা ভেবেই ভালো লাগছে। এমন এক কাজে একজন বাংলাদেশি হিসেবে আমার হাতের ছোঁয়া আছে।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।